• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রংপুর মেডিকেলে ৫৩৭ যন্ত্র নষ্ট, রোগীর কষ্ট

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

এ বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। তখন হাসপাতালের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলা হয়েছিল যে হাসপাতালের চার শতাধিক যন্ত্রপাতি নষ্ট। তখন হাসপাতালের পক্ষ থেকে একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছিল।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, মন্ত্রী ও মহাপরিচালকের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনের পর অধিদপ্তরের হসপিটাল সার্ভিসেস ম্যানেজমেন্ট শাখা থেকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। ওই চিঠিতে নির্দিষ্ট ছকে হাসপাতালের যন্ত্রপাতির তথ্য চাওয়া হয়েছিল। সেই চিঠির উত্তরে রংপুর মেডিকেল থেকে অধিদপ্তরে পাঠানো তথ্যে দেখা যাচ্ছে, অচল যন্ত্রের সংখ্যা ৫৩৭।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মোহাম্মদ ইউনুস আলী প্রথম আলোকে বলেন, মন্ত্রীর হাসপাতাল পরিদর্শনের কিছুদিন আগে তিনি পরিচালকের পদে যোগ দিয়েছিলেন। নষ্ট যন্ত্রপাতির তালিকার বিষয়টি তাঁর কাছে খুব একটা পরিষ্কার নয়। তবে প্রতিটি বিভাগ ধরে ধরে যন্ত্রপাতির নতুন একটি তালিকা তৈরি হচ্ছে।

একাধিক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হাসপাতালের হৃদ্‌রোগ বিভাগ, রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগ, ইউরোলজি বিভাগ ছাড়াও আরও কয়েকটি বিভাগে ভারী যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছিল ২০১১-১২ এবং ২০১২-১৩ অর্থবছরে। ওই সময় হাসপাতালের সব ধরনের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছিল লেক্সিকন মার্চেন্ডাইজ নামের প্রতিষ্ঠান। ল্যাক্সিকনের মালিক মোতাজজেরুল ইসলামের বাড়ি রংপুরে হলেও সারা দেশের স্বাস্থ্য খাতে ছিল তাঁর ঠিকাদারি ব্যবসা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ওই ঠিকাদার রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ কোটি টাকার বেশি মূল্যের যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছিলেন। এসব যন্ত্রপাতির অধিকাংশ এক বছরও ব্যবহার করতে পারেননি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।

হৃদ্‌রোগ বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চিকিৎসকেরা বলেছেন, হৃদ্‌রোগ বিভাগ ও রেডিওলজি বিভাগ সাজিয়েছিলেন ওই ঠিকাদার। ওই সময় সামান্যতম বিরোধিতাকারী চিকিৎসক বা কর্মকর্তা এই হাসপাতালে থাকতে পারেননি।

হাসপাতালের একজন অধ্যাপক বলেন, মোতাজজেরুল ইসলাম এখন সক্রিয় না থাকলেও অন্যরা আছেন। এমন চারজনের একটি দল ‘চার খলিফা’ নামে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে পরিচিত।

মোতাজজেরুল ইসলাম বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন বলে ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –