• শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ২ ১৪৩১

  • || ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

রাজশাহীতে বসে মোবাইলে রংপুর বিটিসিএল চালান জিএম

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২৪  

রাজশাহীতে বসেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রংপুর বিটিসিএল (বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড) চালাচ্ছেন জিএম-২ আব্দুল মালেক। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলেছেন অধীনস্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা। 
অধীনস্ত কর্মকর্তরা জানান, গত ৩ মার্চ পদোন্নতির মাধ্যমে আবদুল মালেক রংপুর যোগদান করেন। এরপর সপ্তাহখানেক অফিস করে রাজশাহীতে চলে আসেন। এরপর থেকে রাজশাহীতে বসেই ইমেইল ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অফিস পরিচালনা করছেন তিনি।
গত ১১ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে বিটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর দেওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধানে জানা যায়, রংপুর বিটিসিএলের অধিক্ষেত্র দশটি জেলা রয়েছে।

এসব জেলার দাপ্তরিক কাজ নিয়ন্ত্রণ করা হয় রংপুর বিটিসিএলের জিএম অফিস থেকে। নিয়ম অনুয়ায়ী বিটিসিএলের যাবতীয় দাপ্তরিক কাজের সমন্বয় হয় জিএম-২ রংপুর অফিস থেকে। কিন্তু জিএম আব্দুল মালেক ৬ মাসের বেশি সময় ধরে অফিসে উপস্থিত হন না। এ কারণে দাপ্তরিক ও কারিগরি কাজে ব্যাহত হচ্ছে। অধিনস্ত কর্মকর্তা এবং গ্রাহকরা তার সঙ্গে সাক্ষাতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। অনেকে চেকের মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব জমা করে থাকেন কিন্তু জিএম না থাকায় তাও হচ্ছে না। এ ছাড়া গ্রাহক পর্যায়ে বিল পরিশোধ, বকেয়া আদায়, কারিগরি পর্যায়ে টেকনিক্যাল এবং নন টেকনিক্যাল ও কারিগরি ত্রæটির সম্মুখীন হচ্ছেন গ্রাহকেরা। 

বিভাগীয় বিটিসিএল সূত্র জানায়, রাজশাহীতে নিজ বাসায় বসে ই-মেইলের মাধ্যমে অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করেন আবদুল মালেক। ফলে অফিসের চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়েছে। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ব্যক্তিগত আক্রোশের জেরে অনেককে বদলি করেন। এতে বিটিসিএল রংপুর জোনের কর্মকাণ্ডে  ব্যাপক হ-য-ব-র-ল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এমন কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে বিটিসিএলের তিনটি জিএম অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা বিভাগীয় ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। 


দায়ের করা অভিযোগে জিএম-২ আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে ভয়াবহ তথ্য পাওয়া গেছে। না প্রকাশ না করার শর্তে তার অধিনস্ত কর্মচারীরা বলেন, তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ হলেই বদলির খড়্গ নামে। এ ছাড়া নানাভাবে বদলি ও চাকরিচুত্যির হুমকির মুখে পড়তে হয়। রংপুরে তার প্রেষণাদেশ বাতিলের দবিতে ১০ জেলায় কর্মবিরতিও পালন করছেন জিএম অধিনস্ত কর্মকর্তারা।  এ সব ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে বিটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম-২) মোহাম্মদ আব্দুল মালেক বলেন, এখন রাজশাহীতে থেকেই অফিস করি। তিনটি সমন্বয় অফিস আমার দায়িত্বে। এ ছাড়া যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মিথ্যা। 
তবে লিখিত অভিযোগ থাকার পরও কিভাবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পেলেন জানতে চাইলে বিটিসিএলের এমডি আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি, তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –