• বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১২ ১৪৩১

  • || ১৮ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২৪  

কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কারে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ                                       
কোরবানির পশু জবাই থেকে শুরু করে মাংস সংরক্ষণ- প্রতিটি ধাপেই পরিচ্ছন্নতাকে সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর না করে; নাগরিকদেরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

কোরবানির পশু জবাই, মাংস কাটাকাটি থেকে সংরক্ষণ পর্যন্ত নানা ধাপ। পশুর রক্ত, বর্জ্যের কারণে দূষিত হয় পরিবেশ। অসচেতনতার জেরে, মারাত্মক রোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে। তাই কোরবানির পর ঘরে-বাইরে পরিষ্কার রাখতে ছোটখাটো বিষয়গুলোও হয়ে উঠে গুরুত্বপূর্ণ।

যারা নিজেদের বাড়িতে বা লনে কোরবানি করবেন, তাদেরকে অবশ্যই নিজ দায়িত্বে বর্জ্য পরিষ্কার করতে হবে। অনেকেই কোরবানির পর বর্জ্য নিজের বাড়ির সামনে রেখে চলে যান। সেখানে এটা পচে গন্ধ ছড়ায় এবং মশা-মাছির চারণক্ষেত্রে পরিণত হয়। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদেরই উদ্যোগী হতে হবে। 

কোরবানির পর একই ভবনের বেশ কয়েকটি পরিবার মিলে একটি সোসাইটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। যেমন, সবাই মিলে বর্জ্য অপসারণের জন্য লোক ঠিক করা যেতে পারে যারা কোরবানির পর পরই বর্জ্য সরিয়ে নিয়ে যাবে। এতে বর্জ্য অপসারণ দ্রুততর হয় বলে পরিবেশের উপর তেমন প্রভাব পড়ে না।

সঠিক উপায়ে কোরবানির রক্ত, বর্জ্য পরিষ্কার করা না হলে, বাড়বে স্বাস্থ্যঝুঁকি। জমাট পানির কারণে বাড়তে পারে ডেঙ্গুর প্রকোপ। কোরবানির পরপরই রক্ত, মলমূত্র ও বর্জ্য দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। পশু জবাইয়ের স্থানে ব্লিচিং পাউডার ছড়িয়ে দিতে হবে। কাঁচা মাংস থেকে যেন রোগ-জীবাণু না ছড়ায়; সেটাই খেয়াল রাখতে হবে বেশি। 

ঘরের সুরক্ষার জন্য মাংস কাটার জায়গা ধুয়ে, বিছাতে হবে প্লাস্টিকের শিট। এরপর- মাংস কাটা হয়ে গেলে গরম পানি, ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ব্যবহারের পর মাংস কাটার সরঞ্জাম ও পাত্রগুলোর পরিচ্ছন্নতাও জরুরি। ঘর থেকে মাংসের দুর্গন্ধ দূর করতে লেবুর রস, বেকিং সোডা ব্যবহার করা যেতে পারে।

প্রয়োজন ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করা। মাংস কাটার সঙ্গে জড়িত কেউ যেন সংক্রামক রোগে আক্রান্ত না হয়, সেদিকেও নজর দিতে হবে। জীবাণুর বিস্তার রোধে অ্যান্টিসেপ্টিক ওষুধ ব্যবহার করা দরকার- মত বিশেষজ্ঞদের।

গত কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে ভয়াবহভাবে। তাই পশু কোরবানি শেষে কোথাও যাতে পানি জমে না থাকে- সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

প্রসঙ্গত, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকা থেকে পরিষ্কার করে একে স্বাস্থ্যকর, পরিচ্ছন্ন ও দুর্গন্ধমুক্ত পরিবেশ নাগরিকদের ফিরিয়ে দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এসব কার্যক্রম নগর ভবনে স্থাপিত কেন্দ্রীয় লাইভ মনিটরিং সেল থেকে সব সময় নজরদারি করা হচ্ছে। 

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –