• রোববার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ২১ ১৪৩১

  • || ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

লিবিয়ায় বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীর চাহিদা আছে

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২৪  

লিবিয়ায় বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীর চাহিদা আছে বলে জানিয়েছেন দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাসার। তিনি বলেন, বিশেষ করে, ডাক্তার ও নার্সের চাহিদা আছে। তাদের বেতনও ভালো। ইতালি সাগরপথে কড়াকড়ি আরোপ করছে। দালাল ধরে আগের মতো দেশটিতে যাবার পথও বন্ধ হতে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে অবৈধপথে লিবিয়া হয়ে ইতালিযাত্রা অনিশ্চয়তা এবং বিপজ্জনক। কদিন পরপরই গণমাধ্যমে খবর হয় নৌকাডুবিতে প্রাণহানির। মানবপাচারের বলি হয়ে নির্যাতিতদের মুক্তিপণ দিয়ে ফেরার গল্পও উঠে আসে কখনো কখনো। তবুও থামছে না ভুল পথের এই যাত্রা।


তবে কি লিবিয়াতে বাংলাদেশ মিশন ব্যর্থ? এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূতের সাফ জবাব, অবৈধপথে যাবার প্রবণতা আগের থেকে কমেছে ইতালির সীমান্তে কড়াকড়ির পর। তবে পুরোপুরি থামাতে সময় লাগবে।


রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ খায়রুল বাসার বলেন, ফরেন মিনিস্ট্রিতে কথা বলেছি। তারা বলেছে, এখানে কয়েকটা দেশের ইনভলভমেন্ট রয়েছে। কেউ ইজিপ্ট হয়ে আসছে, কেউ ইউএই হয়ে আসছে। এ ছাড়া চার্টার্ড ফ্লাইট যারা দিচ্ছে তারাও এখানে যুক্ত। সুতরাং সব স্টেকহোল্ডার এক সঙ্গে হয়ে যদি কাজ না করতে পারে তাহলে লিবিয়া এটি বন্ধ করতে পারবে না। আমাদের পক্ষ থেকেও এটি বন্ধ করতে পারবো না।


তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশর জনগণকে সতর্ক করা চেষ্টা করছি কেউ যেন না বুঝে অবৈধভাবে দালালের মাধ্যমে ইতালিতে যাওয়ার উদ্দেশে লিবিয়াতে না আসে। ঠিক একইভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতাও কামনা করছি।


রাষ্ট্রদূত আরো জানান, মানবপাচারের বিপরীতে দেশটিতে ভিন্ন গল্পও আছে। সেখানে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ শ্রমিক হিসেবে ডাক্তার ও নার্সের বেশ চাহিদা রয়েছে।


রাষ্ট্রদূত মনে করেন, শুধু লিবিয়া বা ইতালিতে মানবপাচারকারীদের ধরলে হবে না। বাংলাদেশে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –