• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাংলাদেশের লক্ষ্য পেপারলেস স্মার্ট সার্ভিস: পলক

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ জুলাই ২০২৪  

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য পেপারলেস স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। যেখানে সরকারের কোনো সেবা পেতে নাগরিকদের কোনো দফতরে ঘুরতে হবে না। দেশের নাগরিকরা স্মার্টফোনের মাধ্যমে পেপারলেস স্মার্ট সার্ভিস হাতের মুঠোয় পাবেন। সেটিই হচ্ছে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য।

শনিবার দুপুরে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা সদরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ভিত্তি স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত কম্পিউটার দিয়েছেন। গত মাসে শিক্ষা সপ্তাহের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, আগামী অর্থবছর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনের কার্যক্রম আমরা শুরু করবো।

তিনি বলেন,গত ১৫ বছরে ১৩ হাজার ডিজিটাল ল্যাব করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য আগামী প্রজন্মকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলা। 

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সারাদেশে স্কুল অব ফিউচার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। যেখানে প্রত্যন্ত এলাকার শিক্ষার্থীরা ইউরোপ আমেরিকার মতো উন্নত প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারবে। রোবটিক, ইন্টারনেট অব থিংক, এ আই, সাইবার সিকিউরিটিসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানার সুযোগ পাবে। এই ইন্টারনেট শক্তি ও তারুণ্য মেধার শক্তি কাজে লাগিয়ে সারাদেশে লার্নিং আর্নিংসহ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষ হয়ে তারা পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জসহ প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এই জনশক্তি বিশ্বের বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে কাজ করছে। আগামী পাঁচ বছরে ১০ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান করা হবে এবং ৫ বিলিয়ন রফতানি আয় করা হবে।

তিনি বলেন, সরকার ইন্টারনেট সেবার দাম কমিয়েছে। পঁচাশি হাজার টাকার প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেট মাত্র ৬০ টাকায় আনা হয়েছে। এজন্য দেশের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তসহ সাধারণ মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। সহজ ইন্টারনেট সুবিধার কারণে করোনাকালীন দুই বছরে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে প্রায় চার লাখ বিচারিক শুনানি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এক হাজার ছয়শটি ভার্চুয়াল সভা করে দাফতরিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রেখেছিলেন।

তিনি আরো বলেন, আমরা এরই মধ্যে দুই কোটি ফাইল কাগজবিহীন অবস্থায় ডি-নথির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছি। আমাদের এখন লক্ষ্য পেপারলেস স্মার্ট সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ। যেখানে সরকারি সেবা পেতে দফতরে ঘুরতে হবে না। স্মার্ট ফোনের মাধ্যমেই তারা পেপারলেস সার্ভিস নিতে পারবে। সারাদেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৫৫টি জয় স্মার্ট সার্ভিস ইমপ্লয়মেন্ট সেন্টার আমরা নির্মাণ শুরু করেছি। প্রত্যেক পোস্ট অফিসকে আরো স্মার্ট ও গতিশীল করা হচ্ছে। প্রতি বছর প্রতিটি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার থেকে অন্তত ১ হাজার তরুণের আইটি খাতে কর্মসংস্থান করা হবে।

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাবেক রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরুল্লাহ্ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের প্রকল্প পরিচালক আতিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৯ একর জমিতে প্রকল্পটি বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করছে। আগামী দুই বছরের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জসহ সারাদেশের ১৩টি জেলায় শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –