• মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ১ ১৪৩১

  • || ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

জোবরা থেকে দেশের অভিভাবক

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ আগস্ট ২০২৪  

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। চট্টগ্রামের জোবরা গ্রাম থেকে এখন দেশের অভিভাবক তিনি।

ড. ইউনূসের প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংক ও দারিদ্র্য বিমোচনে ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প সারা বিশ্বের মডেল। তার সামাজিক ব্যবসা ধারণাটি বহির্বিশ্বে অনুকরণীয়। ১৯৯৬ সালে সাবেক প্রধান বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এবার হলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

জন্ম ও বেড়ে ওঠা
মুহাম্মদ ইউনূস ১৯৪০ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রামের হাটহাজারীর কাপ্তাই সড়কের বাথুয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তার বাবা হাজী দুলা মিয়া সওদাগর ছিলেন একজন জহুরি। মা সুফিয়া খাতুন। ১৯৪৪ সালে গ্রাম থেকে মা-বাবার সঙ্গে তিনি চট্টগ্রাম শহরে চলে আসেন।

শিক্ষা জীবন
লামাবাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষায় মুহাম্মদ ইউনূস মেধা তালিকায় ১৬তম স্থান অধিকার করেন এবং চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হন। এরপর ১৯৫৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেন।

পড়াশোনা শেষে তিনি ব্যুরো অব ইকোনমিক্সে যোগ দেন গবেষণা সহকারী হিসেবে। পরবর্তীসময়ে ১৯৬২ সালে চট্টগ্রাম কলেজে প্রভাষক পদে যোগদান করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি স্কলারশিপ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান। পরে ভেন্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৬৯ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি লাভ করেন। ১৯৬৯ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন।

১৯৭২ সালে দেশে ফিরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন। এই সময়ের মধ্যেই ১৯৭৬ সালে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।

উল্লেখযোগ্য অর্জন ও পুরস্কার
গ্রামীণ ব্যাংক ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প দারিদ্র্য বিমোচনে কৃতকর্মের জন্য ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল জয় করেন ড. ইউনূস। তিনি ১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিকসহ প্রায় ১৪৫টি পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর থেকে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ পান। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অফ ফ্রিডম এবং ২০১০ সালে কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল পান। ২০২০ সালে তিনি ন্যাশনাল এনডাউমেন্ট ফর ডেমোক্রেসি থেকে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –