হাবিপ্রবির বিশাল গবেষণা মাঠে সূর্যমুখীর হাসি
প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২১
বিকেল হলেই শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীদের ভিড় জমছে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠে। তবে গবেষণার উদ্দেশ্যে নয় বরং বিকেলের স্নিগ্ধ আভায় সূর্যমুখী ফুলের সৌন্দর্য অবলোকন করতেই তাদের এই পাদচারণা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশাল গবেষণা মাঠে নীল আকাশের নিচে হলুদ সূর্যমুখী ফুলের এমন সৌন্দর্য অনেকেরই নজর কাড়ছে। সঙ্গে প্রজাপতি আর মৌমাছির মেলাতো আছেই।
উত্তরবঙ্গের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষিতত্ব বিভাগের গবেষণা মাঠে এভাবেই আভা ছড়াচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের হাসি। নয়ন জুড়ানো এই দৃশ্যে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকের এই গবেষণা মাঠে হাবিপ্রবির কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান খন্দকার স্মরণ মূলত সূর্যমুখী ফুলের উৎপাদন ও ফলনের উপর জৈব রাসায়নিক সারের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম সিকদারের তত্ত্বাবধানে গবেষণাটি করছেন।
হাসিবুল হাসান খন্দকার স্মরণ জানান, ‘বর্তমান সরকার ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূর্যমুখী চাষের ব্যাপারে অনেক বেশি আগ্রহ নিয়ে কাজ করছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমনকি বর্তমানে আমাদের দেশেও ভোজ্য তেল হিসেবে এই তেলের চাহিদা বেড়েছে। আমার মাস্টার্স এ ইচ্ছে ছিল কিছুটা ভিন্নরকম কাজ করার। যেহেতু সূর্যমুখী এখন আমাদের দেশের জন্য রাইজিং একটা ফসল তাই এটা নিয়ে কাজ করার আগ্রহটা বেড়ে গেছে। সর্বোপরি আমার সুপারভাইজার স্যারের পরামর্শে এটা নিয়ে কাজ করছি।’
সূর্যমুখী নিয়ে গবেষণার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার গবেষণার জন্য চাষকৃত সূর্যমুখীর জাত হলো বারি সূর্যমুখী-২। সূর্যমুখীর তেলের চাহিদা দিন দিন দেশ ও দেশের বাইরে বেড়েই চলছে। সূর্যমুখী নিয়ে গবেষণার মূল কারণ হলো আমাদের দেশে এই ফসলের চাষে যেন কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হয়।
সূর্যমুখী তেলের মধ্যে প্রোটিনের অনুপাত আমাদের দেশের অন্য সব ভোজ্য তেলের থেকে অনেক বেশি। আমাদের দেশে হৃদরোগী, উচ্চ রক্তচাপের রোগী, ডায়াবেটিস রোগী, কিডনি রোগীদের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। বর্তমানে বাজারের ভোজ্য তেলগুলো শরীরের জন্য খুব খারাপ প্রভাব ফেলছে। যেখানে সূর্যমুখী তেল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
তিনি জানান, সূর্যমুখী তেলের মধ্যে প্রোটিন ও কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ যেমন বেশি তেমনি এই তেলের রান্নাও সুস্বাদু। বাজারে এই তেলের চাহিদা যেভাবে বাড়ছে এই সময়ে আমাদের দেশের কৃষকরা এটি চাষ করলে অর্থনৈতিকভাবে অনেক উপকৃত হবে। মূলত এসব ভাবনাই এই ফসল নিয়ে গবেষণার কাজে আমাকে আগ্রহী করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি প্রথম এই ফসল নিয়ে কাজ করছি। আমি গত ২০২০ সালের ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ বীজ বপন করি। কৃষি গবেষণা মাঠটি সংস্কার করায় এবং উঁচু টিলা কেটে সেই মাটি গবেষণা মাঠে ফেলার কারণে গবেষণা মাঠটি চাষাবাদের জন্য অনুপযোগী ছিল। যার কারণে আমার বপনের পর বীজ গজাতে বিলম্ব হয়েছিল।
সে সময় আমাকে প্রতি সপ্তাহে ১ থেকে ২ বার করে সেচ দিতে হতো। এছাড়া মাটিতে অন্যান্য পুষ্টি উপাদান না থাকায় গাছের বৃদ্ধিও বিলম্ব হয়েছিল। পরে আমি গবেষণার বিষয় ঠিক রেখে যথেষ্ট পরিমাণে জৈব সার মাটিতে দিয়ে গাছগুলোর স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখার চেষ্টা করি।
কিন্তু ফুল আসার পর যখন ফুলগুলো ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের ও বহিরাগত দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে থাকে তখনই বিপত্তি বাধে। অনেকেই ফুলগুলো দেখতে এবং ছবি তুলতে গিয়ে গাছ ও ফুল নষ্ট করে ফেলে। যার জন্য আমার গবেষণার মাঠে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে যেটা কোনো গবেষণার কাজে একদমে অনাকাঙ্ক্ষিত। যদিও এই ফসলের ফলে কৃষি গবেষণা মাঠটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছে, যেটা আমার জন্য খুবই আনন্দের।
বীজগুলো সুমিষ্ট হওয়ার জন্য পাখি অনেক গাছের অপরিপক্ব বীজ (ফল) খেয়ে ফেলেছিল। সর্বোপরি এই গবেষণার কাজটি করে আমার তেল জাতীয় ফসল উৎপাদনের বিভিন্ন বিষয়ে অনেক ভালো ধারণা হয়েছে, যেটা আমাকে ভবিষ্যতে অনেক বিষয়ে সাহায্য করবে।
বারি সূর্যমুখী-২ এর বীজের গুণগত মান নিয়ে হাসিবুল হাসান খন্দকার স্মরণ বলেন, অনেক পরিশ্রমের পর এখন আমি বীজগুলো সংগ্রহ করছি। বীজের গুণগত মান অনেক ভালো। আমার সুপারভাইজার স্যার আমার গবেষণার কাজে খুশি। প্রতিটি ফুলের ব্যাসার্ধ ১২-২০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়েছে আর প্রতিটি ফুলে ৬৫০ থেকে ৯০০টা করে বীজ আসছে যার ওজন ৭০-৯৫ গ্রাম করে। এই হিসেবে ১ হাজার বীজের ওজন ৮০-১০৫ গ্রাম করে হচ্ছে।
কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম সিকদার বলেন, ‘সূর্যমুখী চাষ এখন বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে তাই সূর্যমুখীতে রাসায়নিক সারের পাশাপাশি জৈব সারের প্রভাব নিয়ে কাজ করছি। এখানে তিন ধরনের জৈব সার (গোবর সার, প্রোল্টি লিটার ও ট্রাইকোডার্মা কম্পোস্ট) বিভিন্ন পরিমাণে ব্যাবহার করে পরীক্ষা করছি কোনটি ব্যাবহার করে বারি সূর্যমুখী-২ অধিক পরিমাণ ফলন দেয়। আমাদের গবেষণায় জৈব সারের প্রতি আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি।
তিনি বলেন, গবেষণার উপযোগী পরিবেশ এখনও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সেভাবে গড়ে ওঠেনি। আমাদের গবেষণা কাজের জন্য সুযোগ সুবিধা অনেক কম। গবেষণা কাজের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তা অপ্রতুল। গবেষণার জন্য জমির পরিমাণও অনেক কম, যা আছে সেগুলোও সেভাবে রক্ষিত নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার জন্য শিক্ষার্থীদের নতুন নতুন কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর প্রতি জোর দেন ড. শফিকুল ইসলাম সিকদার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অধিক পরিমাণে গবেষণার সুযোগ তৈরি ও বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –- শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সেই শিক্ষকের গ্রেপ্তার দাবি
- সড়ক থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার বৃদ্ধার হাসপাতালে মৃত্যু
- দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ওপর হামলা
- নাগেশ্বরীতে একটি বসত ঘর চান ছামিনা
- ডিমলায় তিস্তার চরে নিচু জমিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর
- ভারতের বিপক্ষে প্রথমার্ধে ৩ গোল বাংলাদেশের
- সারাদেশে বৃষ্টির আভাস
- ২৫ অক্টোবর টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স শুরু
- ৩২ মাসের বকেয়া বেতন চায় সাইনোভিয়ার শ্রমিক-কর্মচারী
- রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি : শফিকুল আলম
- ডিমলায় মোটরসাইকেল চুরি, দিশেহারা ব্যবহারকারীরা
- ডিমলায় অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় ৪ যুবক আটক
- রংপুরে ৬৮ ভাগ কিশোরী বাল্যবিবাহের শিকার
- মাদক সেবনের অপরাধে ২ যুবককে ৭ দিনের কারাদণ্ড
- কুড়িগ্রামে জারায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে সভা
- বেরোবিতে পুলিশ ক্যাম্পের কার্যক্রম পুনরায় শুরু
- কবে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ডানা?
- ভূরুঙ্গামারীতে ৭ বছর পর চাকরি ফিরে পেলেন দুই শিক্ষক
- ঠাকুরগাঁওয়ে মাদ্রাসা কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, পাল্টাপাল্টি মামলা
- শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সারদায় পুলিশের ২৫০ এসআইকে অব্যাহতি
- ‘আমি ভীতু, আসিফ ভাই সাহসী, এজন্য তার বেশি সম্মান প্রাপ্য’
- ‘একজন দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি আর কতদিন টিকবে’
- পঞ্চগড়ে স্কুলছাত্র হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
- সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন
- রাস্তার পাশে পড়ে ছিল ফেরিওয়ালার লাশ
- বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা
- সামগ্রিক উন্নয়নে ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে
- রংপুরের মিঠাপুকুরে এক কিশোরকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন
- রংপুরে সরকার নির্ধারিত দামে ডিম বিক্রি শুরু
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গুলি করে একই পরিবারের ৩ জনকে হত্যা
- এবছর রংপুরের তিন নদীতে ধরা পড়েছে সাড়ে ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ
- প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে সেনাবাহিনী জড়ো হয়নি, বিষয়টি গুজব
- আশুলিয়ায় গুজব ছড়িয়ে সহিংসতা করা হয়েছে : শ্রম উপদেষ্টা
- নাগেশ্বরীতে গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতর
- সেই ম্যাজিস্ট্রেটকে বহিষ্কার ও গ্রেফতারে আলটিমেটাম
- পীরগাছায় পূজামণ্ডপ ঘুরে দেখলেন জামায়াত নেতারা
- আগাম ধান কাটা শুরু, কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক
- কুড়িগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হলেন মিজানুর রহম
- বিরলে দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সভা
- দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি
- বন্যায় তিন জেলায় ১০ মৃত্যু, শেরপুরেই ৮ জন
- রাসূলুল্লাহ (সা.) যে কারণে সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখতেন
- ‘রিসেট বাটন’ নিয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
- রাজশাহীতে বসে মোবাইলে রংপুর বিটিসিএল চালান জিএম
- রংপুর এরিয়া পরিদর্শন করলেন সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান
- কুড়িগ্রামে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ ছাত্র-জনতার
- কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি
- কুড়িগ্রাম সীমান্ত থেকে ৮ বাংলাদেশি আটক
- পানি উন্নয়ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপর হামলায় মানববন্ধন
- মাছ চুরির অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার