• শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ১৫ ১৪৩১

  • || ২১ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

ভূরুঙ্গামারী ফাউন্ডেশনের ঘর পেয়ে খুশি ফজর মিয়া

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০২৪  

কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারীতে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এর তরুণদের উদ্যোগে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে একটিটি পরিবার। ঘর পাওয়া ওই ব্যক্তির নাম ফজর মিয়া। তিনি উপজেলার ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড চর নলেয়া গ্রামের বাসিন্দা। সোমবার (২৪ জুন) ওই পরিবারকে একটি টিন সেড ঘর হস্তান্তর করে ভূরুঙ্গামারী ফাউন্ডেশন নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

জান যায়, দুধকুমার নদের ভাঙনে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায় ফজর মিয়ার বসত বাড়ি। পরে আশ্রয় নিয়েছেন অন্যরে বাড়িতে। অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা পান তাই দিয়ে কোনমতে  সংসার চলতো তার। তার স্ত্রী, মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে একটি জরাজীর্ণ ঘরে থাকেন। অর্থের অভাবে ঘরটি মেরামত করতে পাচ্ছিলেন না। পরিবাবটির একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি  ফজর মিয়া জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মানববেতর জীবন যাপন করছিলেন। বাধ্য হয়ে স্ত্রী অন্যরে বাড়িতে কাজ করত। হতদরিদ্র এই পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে তাদেরকে ১০ হাত বাই বার হাত বিশিষ্ট একটি টিন সেড ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে ভূরুঙ্গামারী ফাউন্ডেশন নামের তরুণদের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। কোরবানি ঈদের আগের দিন তাদেরকে ঘরে থাকার ব্যবস্থা করে দিলেও বাকি কাজ শেষ করে সোমবার ঘরটি স্থায়ীভাবে হস্তান্তর করা হয়। ঘর পেয়ে আবেগে কান্নায় ভেঙে পড়েন অসুস্থ ফজর মিয়া।

তিনি জানান, আমি এত সুন্দর একটি ঘরে থাকতে পারবো তা কখনো ভাবিনি। ঘর পেয়ে আমি ও আমার পরিবার অনেক খুশি। আল্লাহ্ যেন উনাদের মঙ্গল করেন।

ভূরুঙ্গামারী ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক হেদায়েতুল ইসলাম খান রোমান জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে দশজন ঘর পাচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে উপজেলার গৃহহীন পরিবারকে আরো ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে। সংগঠনের সদস্যরা স্বপ্ন দেখে উপজেলার কেউ গৃহহীন থাকবে না।

ভূরুঙ্গামারী ফাউন্ডেশনের সভাপতি আশিক শিকদার জানান, এই সংগঠনটি আনুষ্ঠানিক পদযাত্রা শুরু হয় ২০২০ সালের কোভিড-১৯ এর শুরুর দিকে কর্মহীন হয়ে পড়া গৃহকর্মীদের ত্রাণ সহযোগিতার মাধ্যমে। করোনা সচেতনতা বৃদ্ধি, জনসম্মুখে মাক্স বিতরণ, তার পরবর্তীতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জুরুরি ঔষধ সরবরাহ, শুকনো খাবার, বন্যা পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্তদের পূনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। শীতবস্ত্র বিতরণসহ ভূরুঙ্গামারীর আনাচে-কানাচেতে চুষে বেরিয়ে গৃহহীন পরিবার খুঁজে বের করে তাদেরকে একটি থাকার ঘর করে দেয়া হয়। এটি সংগঠন থেকে দেয়া সপ্তম ঘর।

এ সময় ভূরুঙ্গামারী ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য ইন্জিনিয়ার আশরাফুল আলম সুমন, সভাপতি আশিক শিকদার, সাধারণ সম্পাদক রাশেদ ব্যাপারী, সাংগঠনিক সম্পাদক এম হেদায়েতুল ইসলাম খান রোমান, সাব ইন্সপেক্টর মো. রাসেলসহ অত্র এলাকার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –