• সোমবার ০৮ জুলাই ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ২৪ ১৪৩১

  • || ৩০ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

ভূরুঙ্গামারীতে মাদক আটকের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে আসামিদের পাঁয়তারা

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২৪  

কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারীতে ফেন্সিডিল ও গাঁজা আটকের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে আসামিদের বিভিন্ন পাঁয়তারা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ৮ জুন (শনিবার) ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুরাতন থানাপারা এলাকার জনৈক এমদাদুল হক পাবেলের গুদাম ঘর থেকে ১৬০ বোতল ফেন্সিডিল ও ২০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। পরে পুলিশ মাদক চোরাচালান ও ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে এমদাদুল হক পাবেল ও শফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত নামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে।

এ ঘটনার পর ১১ জুন (মঙ্গলবার) পাবেলের আত্বীয়স্বজন কুড়িগ্রামে এক সংবাদ সম্মেলনে ভূরুঙ্গামারীতে বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক কারবার চালিয়ে বাসার মালিককে ফাঁসানোর অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রায় ৬ মাস পূর্বে উপজেলার জয়মনিরহাট ইউনিয়নের বড়খাটামারী গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে মদিনা কসমেটিকসের মালিক শফিকুল ইসলাম ভূরুঙ্গামারী সদরের পুরাতন থানাপারা এলাকার পাবেলের বাসা ভাড়া নিয়ে গুদাম হিসাবে ব্যবহার করে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, ভাড়াটিয়া শফিকুল ইসলাম জয়মনিরহাটের বড়খাটামারী গ্রামের মৃত. শের আলীর ছেলে সিদ্দিক আলী, শিংঝাড় গ্রামের ইয়ামিন আলীর ছেলে রফিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ভারত থেকে গাঁজা ও ফেন্সিডিল এনে অভিনব কায়দায় রাইচ কুকারের প্যাকেটে, ডিমের খাচায় যাত্রাপুরে শফিকুলের গ্রামের বাড়িতে রেখে নদী পথে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করতো। সংবাদ সম্মেলনে এমদাদুল হক পাবেলকে নির্দোষ দাবি করে মামলা প্রত্যাহরের দাবি করা হয়।

এদিকে, ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গত ১১ জুন পুলিশ মাদক পাচারের সন্দেহে ২নং আসামি শফিকুল ইসলামকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে মাদক পাচারের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেও আদালতে সে তা অস্বীকার করে। এ ঘটনার পর গত ১২ জুন শফিকুল ইসলামকে নির্দোষ এবং ওসি ও ওসি (তদন্ত) এর অপসারণের দাবি করে আত্মীয়স্বজনের ব্যানারে কয়েকজন হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রকে তুলে এনে জয়মনিরহাটে মানবন্ধন করে। মানববন্ধনে দাবি করা হয় মাদক চোরাচালানের মূল হোতা এমদাদুল হককে আড়াল করতে শফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে। তারা পাবেলের স্ত্রীকেও আসামি করার দাবি জানায়।

তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, পাবেল ও শফিকুল ইসলামে নেতৃত্বে একটি চক্র যৌথভাবে মাদক চোরাচালান নিয়ন্ত্রণ করত। কোনো কারণে বনাবনি না হওয়ায় মাদকের চালান ধরিয়ে দেয়া হয়। আর এই চক্রটিকে বাঁচাতে এবং মামলাটিকে ভিন্নখাতে নিতে এদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে গড়ে উঠেছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র।

এ বিষয়ে ওসি রুহুল আমিন জানান, মাদক আটকের পর সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমদাদুল হক পাবেলকে আটকের চেষ্টা চলছে। তাকে আটক করতে পারলেই পুরো গ্যাংটির মুখোশ উন্মোচন হবে। তিনি আরও বলেন, একটি চক্র মামলাটি ভিন্নখাতে নিতে এবং প্রকৃত আসামিদের আড়াল করার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –