• রোববার ০৬ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ২১ ১৪৩১

  • || ০১ রবিউস সানি ১৪৪৬

কুড়িগ্রামে পানি কমলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ জুলাই ২০২৪  

কুড়িগ্রামে সবকটি নদনদীর পানি কমা ও বাড়ার মধ্যেই চলছে জেলার বন্যা পরিস্থিতি। রবিবার সকাল থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের তিনটি পয়েন্টে পানি কমে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরে রবিবার সন্ধ্যে ৬টায় স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের হাতিয়া পয়েন্টে পানি অপরিবতির্ত থেকে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

এদিকে, ধরলা নদীর সেতু পয়েন্টে পানি অপরিবর্তিত থেকে বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ধরলার শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং দুধকুমার নদের পাটেশ্বরী পয়েন্টে  বিপদসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে সন্ধ্যে ৬টায়ও প্রবাহিত হচ্ছিল। ফলে জেলার বন্যা সার্বিক পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয়নি। বানভাসী প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা হলেও দুর্গম চরের বাসিন্দাদের ভাগ্যে তা জোটেনি বলে বানভাসিদের অভিযোগ।এছাড়াও বন্যা দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য ও গো খাদ্য সংকট।সেই সাথে বিশুদ্ধ পানি সংকট প্রকট আকার ধারণ করায় ডায়রিয়া ও পানিবাহিত রোগের সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, নাগেশ্বরীতে দুধকুমার নদীর বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে। এতে নুতুন করে আরো অন্তত ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়ে। উপজেলার বামন ডাঙ্গা ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার পুরাতন বেড়ী বাঁধটির দুটি স্থানে প্রায় ১শ মিটার এলাকা ভেঙ্গে যায়। ফলে ভাঙ্গা অংশ দিয়ে প্রবল স্রোতে পানি প্রবেশ করে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হতে থাকে। পানি আরোও বৃদ্ধি পেলে নাগেশ্বরী পৌর শহর পানিতে নিম্মজিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মিয়া পাড়া, মালিয়ানি,সেনপাড়া,তেলিয়ানী,পাটেশ্বরী,বোয়ালের ডারা, অন্তাইপাড়,ধনিটারী, বিধবাটারী, বড়মানী,বামনডাঙ্গা, নাগেশ্বরী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সাঞ্জুয়ার ভিটা, ভুষিটারী, ফকিরটারী গ্রাম প্লাবিত হয়ে পড়ে। 

বামনডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রনি জানান, শুক্রবার রাত থেকে তার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড বন্যাকবলিত হয়। সকালে মিয়াপাড়া বেড়ি বাঁধের দুটি স্থানে ভেঙ্গে গিয়ে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –