• শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ২ ১৪৩১

  • || ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

ড্রাগন চাষে খোরশেদের সাফল্যের গল্প

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৪  

কুড়িগ্রাম পৌর শহরের পুরাতন হাসপাতালপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী দবির উদ্দিনের ছেলে খোরশেদ আলম। পেশায় বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দেখাশুনা করেন তিনি। বছর পাঁচেক আগে থাইল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন খোরশেদ আলম। সেখানে স্থানীয়দের ড্রাগন ফলের বাগান দেখে উদ্বুদ্ধ হন তিনি। দেশে ফেরার পথে সেখানকার স্থানীয়দের কাছ থেকে ড্রাগনের চারার কাটিং নিয়ে আসেন খোরশেদ। তারপর শখের বসে নিজ বাড়ির ছাদে সেটি রোপন করেন।

বিদেশী সেই কাটিংয়ের চারা থেকে হওয়া গাছে প্রথমে দুটি ড্রাগন ফল ধরে। এতে বানিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষের স্বপ্ন জাগে খোরশেদ আলমের মনে। পরে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৩০টি ড্রাগন ফলের চারা সংগ্রহ করেন তিনি। ইউটিউব দেখে সেই চারা রোপন করেন তার বাগানে।  এতে সফলতা পেয়ে বানিজ্যিকভাবে ড্রাগন চাষ শুরু করেন খোরশেদ আলম।

বর্তমানে তাঁর ৫০ শতক জমিতে ১০ প্রজাতির দুই হাজারের মত ড্রাগন ফলের গাছ রয়েছে। বাগান থেকে তিনি প্রতিবছরে প্রচুর ড্রাগন ফল পাচ্ছেন। প্রতিটি চারাগাছে ১০০ টাকা খরচে সব মিলে এখন পর্যন্ত তার ব্যয় হয়েছে দুই লাখ টাকা। দীর্ঘমেয়াদী এ প্রজেক্ট থেকে ব্যায় খরচ উঠে ড্রাগনের কাটিং বিক্রি ও ফল বিক্রি করে এ পর্যন্ত লাখ টাকা আয় করেছেন তিনি। খোরশেদ আলমের ড্রাগন দেখতে এসে অনেকেই ড্রাগন চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। অন্যদিকে ড্রাগন বাগানে দিন মজুরের কাজ করে সংসার চলছে অনেকেরই। ড্রাগন ফল চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়ার কথা জানিয়েছেন কৃষি অফিস।

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –