• শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ২ ১৪৩১

  • || ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

ঈদের নামাজের আগেই কোরবানি দেওয়া যাবে?

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২৪  

প্রত্যেক সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব। জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে যার নিত্য প্রয়োজনীয় খরচ ছাড়া অতিরিক্ত সাড়ে ৭ তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা এর সমপরিমাণ নগদ টাকা কিংবা সম্পদের মালিক হলে তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।

আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাকে কাওসার দান করেছি। সুতরাং তোমার রবের উদ্দেশে সালাত আদায় করো ও কোরবানি করো। নিশ্চয় তোমার প্রতি শত্রুতা পোষণকারীই নির্বংশ’। (সূরা: কাওসার, আয়াদ ১-৩)

পবিত্র কোরআনে আরো ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর কাছে পৌঁছে না এগুলোর (কোরবানির পশু) গোশত ও রক্ত, বরং তার কাছে পৌঁছে তোমাদের তাকওয়া। এভাবেই তিনি সেসবকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর তাকবীর পাঠ করতে পারো, এ জন্য যে তিনি তোমাদের হেদায়াত দান করেছেন, সুতরাং তুমি সৎকর্মশীলদেরকে সুসংবাদ দাও। (সূরা: হজ, আয়াত: ৩৭)

অন্যদিকে, হাদিসে এসেছে- মাহনাফ ইবন সুলায়মান (রা.) থেকে বর্ণিত, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লা এর সঙ্গে আরাফায় অবস্থান করছিলাম। তখন তিনি বলেন, ‘হে লোক সকল! আমাদের প্রত্যেক গৃহবাসীর ওপর প্রতি বছর কোরবানি করা ওয়াজিব’। (আবু দাউদ: ২৭৭৯)

এ ক্ষেত্রে শরিয়তের বিধান হলো ঈদের নামাজের পর পশু কোরবানি করা। তাই ঈদের নামাজের আগে কোরবানি করলে তা সঠিকভাবে আদায় হবে না।

মুতাররাফ বারা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সালাতের পর জবেহ (কোরবানি) করলো তার কোরবানি পূর্ণ হলো এবং সে মুসলিমদের নীতি পালন করলো’। (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫১৪৭)।

অন্য হাদিসে এসেছে, বারা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে খুতবা দেওয়ার সময় বলতে শুনেছি, আমাদের আজকের এই দিনে (ঈদের দিনে) সর্বপ্রথম আমরা যে কাজটি করবো তা হলো সালাত (নামাজ) আদায়। এরপর আমরা ফিরে গিয়ে কোরবানি করবো। যে ব্যক্তি এভাবে করবে সে আমাদের সুন্নতকে অনুসরণ করবে। আর যে ব্যক্তি পূর্বেই জবেহ (কোরবানি) করে তা তার পরিবার পরিজনের জন্য অগ্রিম মাংস (হিসেবে গণ্য), তা কিছুতেই কোরবানি বলে গণ্য নয়। তখন আবূ বুরদা (রা.) বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! (সা.) আমি সালাত আদায়ের পূর্বেই জবেহ করে ফেলেছি এবং আমার কাছে একটি বকরির বাচ্চা আছে। যেটি পূর্ণ এক বছরের বকরির চাইতে উত্তম। রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, তুমি সেটিকে কোরবানি করো। তোমার পরে এ নিয়ম আর কারো জন্য প্রযোজ্য হবে না। (সহিহ বুখারি, ৫১৬২)

– কুড়িগ্রাম বার্তা নিউজ ডেস্ক –